ফ্যাক্ট চেকিং: আজকের সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল
গুজবে বিশ্বাস করে আনস্মার্ট না হওয়া: ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বিশ্বাস-অবিশ্বাস ও প্রচার করা বিষয়ে
বর্তমান জামানায় ফ্যাক্ট চেক করার সক্ষমতা থাকা অতীতের অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি।
এটার একটা কারন হলো, এখন যে পরিমাণ তথ্য মানুষের হাতের মুঠোয় আছে তা আমাদের জানা অতীতের কোন সময় ছিলো না।
ফ্যাক্ট চেক করা অর্থাৎ যে কোন তথ্যের সত্যাসত্য যাচাই করা প্রতিদিন প্রতিক্ষণে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
এবং কোন তথ্যই যেন আমরা চেক না করে বিশ্বাস করি বা নিজে থেকে প্রচার করি সেটা অনলাইনে বা অফলাইনে যে মাধ্যেমেই হোক না কেন, এ বিষয়টা সিরিয়াসলি প্রত্যেকের বিবেচনা করা উচিৎ।
ফেসবুক খুললেই যে পরিমাণ গুজব ও অধিকাংশ মিথ্যার ছড়াছড়ি দেখা যায় তা রীতিমত ভয়ানক হয়ে দাড়িয়েছে।
.
কোন তথ্য সত্য কিনা তা বুঝবেন কীভাবে?
প্রথম পদ্ধতি হতে পারে ফেসবুকের অপরিচিত কোন পেজ থেকে তথ্য নিবেন না। তথ্য নিতে হবে প্রমিনেন্ট সব পত্রিকা থেকে। অনেক সময় প্রমিনেন্ট অনেক পত্রিকাও অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রচার করে ফলে।
দেশি কোন ঘটনা হলে দেশি টপ লেভেলের কয়েকটি পত্রিকা দেখতে পারেন। একটা পত্রিকা দেখে কনফার্ম হওয়ার চেয়ে কয়েকটি পত্রিকা দেখা ভালো।
আন্তর্জাতিক কোন নিউজ হলে সেটা দেশি পত্রিকা থেকে রেফারেন্স না নিয়ে আন্তর্জাতিক পত্রিকা থেকেই রেফারেন্স নেওয়া উচিৎ।
.
যে কোন ওয়েবসাইট থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায় সে একই তথ্য অন্য ওয়েবসাইট থেকে রিচেক করে কনফার্ম হওয়া দরকার।
যে কোন তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আর একটা এবং সলিড মাধ্যম হলো "বই"।
যদিও বই বা বড় পত্রিকাতেও ইনটেনশনালি তথ্য ঘুরিয়ে বলা হয়, তারপরও বই ও পত্রিকাই মোটামুটি ফ্যাক্ট চেক করার বড় মাধ্যম।
আর ফার্স্টহ্যান্ডে যেয়ে সরেজমিনে স্বশরীরে তথ্য যাচাই করতে পারলে তো সবচেয়ে ভালো হয়। কিন্তু সব তথ্যের ক্ষেত্রে এই সুযোগ থাকে না।
মূল কথা, যাই লেখেন বা যাই বলেন সেটা যে গুজব না, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বলতে হবে। রেফারেন্স যদি স্ট্রং না হয় তাহলে সেটাও স্বীকার করতে বা লেখার ভিতর উল্লেখ করতে হবে।
আর কোন তথ্য বা ক্লিপ দেখেই উপসংহারে পৌছানো যাবে না। ঘটনা সম্পর্কে যতদূর সম্ভব জেনে বুঝে তারপর মন্তব্য করতে হবে।
ফ্যাক্টচেক করে তথ্য কনজিউম করার ক্ষমতা এখন অত্যাবশ্যকীয় এক স্কিলের পর্যায় পৌছেছে। ভুল তথ্য বলে বা প্রচার করে বা বিশ্বাস করে আনস্মার্ট হওয়া যাবে না। ভুল তথ্য বলা বা প্রচার করা নিজের ও ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর।